রবিবার সকালে হঠাৎই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর। রাজ্যে ঠিক সাড়ে তিন মাস পর ফের রবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটল। কমপক্ষে ৬-৭ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রায় ধূলিসাৎ একটি দোতলা বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অন্তত ১০০টি বাড়ি। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। এদিন বিস্ফোরণ ঘটে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোষপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চলে। প্রায় মাটিতে মিশে যায় একটি দোতলা বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশেপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ি।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয়দের দাবি, কেরামত এবং সামসুল দু’জনে মিলে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করত। ওই বাজি দোতলা বাড়িতে মজুত করে রাখা হত। তা ফেটেই এমন বীভৎস ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে ঠিক কতজনের প্রাণ গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। বিস্ফোরণস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহাংশ। স্থানীয়রা মনে করছেন কমপক্ষে ৬-৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অনেকেই। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দত্তপুকুর থানার পুলিশ শীঘ্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি বাজি ব্যবসায়ী কেরামত ও সামসুলের। ঘটনার খবর ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।