সাধারণত, প্রধানমন্ত্রী কোনও রাজ্যে গেলে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির থাকা সরকারি প্রটোকল বা বিধির মধ্যে পড়ে। কিন্তু শনিবার সকালে গ্রিসের এথেন্স থেকে দিল্লি ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান বেঙ্গালুরুতে নামে, তখন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সরকারি অফিসারেরা থাকলেও রাজ্যপাল তহরচাঁদ গেহলট এবং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া উপস্থিত ছিলেন না। এমনমূ রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের কোনও মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন না। এমন নজিরবিহীন ঘটনায় জল্পনা তুঙ্গে ওঠে সকাল থেকেই। তবে ইসরোর অনুষ্ঠানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে না যাওয়ার কারণটি জানান। বলেন, ‘আমিই ওঁদের বলেছিলাম, প্রটোকল রক্ষার জন্য অত সকালে কষ্ট করে বিমানবন্দরে আসার দরকার নেই।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি এথেন্স থেকে সরাসরি বেঙ্গালুরুতে নেমেছি। ক’টায় বিমান বেঙ্গালুরু পৌঁছাতে পারবে আগাম জানা সম্ভব ছিল না। তাই বলেছিলাম, কষ্ট করে সকালবেলা আমাকে স্বাগত জানাতে আসতে হবে না।’ প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নিজের স্বার্থে প্রটোকল ভাঙতে বলেছেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, আসলে প্রধানমন্ত্রী কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। তাঁরা আগেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের রাজ্য সরকারের তরফে সংবর্ধনা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ইসরোর চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে দেখা করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এগুলি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হয়নি। এটা ক্ষুদ্র রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।’ কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রী আসলে চাননি ইসরোর অনুষ্ঠানে তাঁর পাশে কর্ণাটকের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। তিনি চেয়েছেন, ছবিতে শুধুই তিনি এবং ইসরোর বিজ্ঞানীরা থাকবেন।