কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইট থেকে গায়েব লক্ষাধিক আরটিআই আবেদন এবং সেই সম্পর্কিত তথ্য। এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পরই চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব আরটিআই আধিকারিকরা। তাঁদের অভিযোগ, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তথ্য জানার অধিকার আইনের আবেদন নতুন করে গ্রহণ করছে না। পাশাপাশি পুরনো তথ্য তুলে দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসছে। ২০১৯ সালের আগে করা তথ্য জানার অধিকার আইনের জবাবের তথ্য ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আরটিআই ওয়েবসাইট খুললে সেখানে দেখা যায়, ওয়েবসাইটটিতে কাজ চলছে এবং পুরনো তথ্য খুব দ্রুত ফিরে আসবে।
গত বছর থেকে নতুন করে আরটিআই ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের যুক্তি, ওয়েবসাইটের ওপর বিপুল পরিমাণে চাপ পড়ার কারণে নতুন করে নাম নথিভুক্ত করা স্থগিত রাখা হয়েছে। আরও বলা হয়, ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা প্রতি ৬ মাসে একটিই আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও বর্তমানে যাঁদের এই ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁদের নতুন করে ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হচ্ছে। এই তথ্য না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।
আরটিআই কর্মীদের অভিযোগ, পুরনো তথ্য প্রত্যাহার করে নেওয়া সম্পর্কিত কোনও সরকারি নির্দেশিকা তাঁদের কাছে আসেনি। ২০১৩ সাল থেকে মোট ৫৮.৩ লক্ষ আরটিআই আবদেন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্তক এবং বিভাগে। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই ১২.৬ লক্ষের বেশি আরটিআই আবেদন করা হয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ওয়েবসাইটটি ঠিকমত কাজ করছে না। পুরো ওয়েবসাইট খুলতে সময় নষ্ট হচ্ছে অনেক বেশি এবং তারপরেও পুরোপুরি খোলা যাচ্ছে না ওয়েবসাইটটি।