এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বামেদের দোষারোপ বিঁধলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বেহালায় ‘ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট’ কর্মসূচির মঞ্চ থেকে উক্ত ছাত্রের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। গত ৯ই আগস্ট রাতে মৃত্যু হয় ছাত্রটির। তারপরই ফোনে সদ্য সন্তানহারা বাবার সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিহত ছাত্রের বাবার সঙ্গে কথোপকথনের একাংশ উল্লেখ করে মমতা বলেন, “ছাত্রের বাবা বলেন, দিদি জানেন ও খুব কাঁদত। বলত আমার উপর অত্যাচার হচ্ছে। আমি কাল যাব ঠিক করেছিলাম। বগুলা থেকে কলকাতা। বুঝতে পারিনি ওরা অত্যাচার করে আমার ছেলেকে ছাদ থেকে ফেলে দেবে।”
পাশাপাশি ঘটনায় বামেদের নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন “কারা এরা? মার্কসবাদী। বড় বড় কথা বলছে। কখনও বিজেপি, কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করছে। তৃণমূল ওদের এক নম্বর শত্রু। যাদবপুরের ওই ছেলেটির হাতে একটা মাদুলি ছিল। ওরা বলেছিল সেটা খুলতে হবে। যেন জমিজারি। ওটা যেন ওদের রেড ফোর্ড। ওদের বোধ বলে কিছু নেই। আবেগ, বিবেক নেই। ওখানে পুলিশ ঢুকতে দেয় না। সিসিটিভি লাগাতে দেয় না। যাদবপুর আতঙ্কপুর হয়ে গিয়েছে।” এখানেই থেমে থাকেননি মমতা। “আমি দুঃখিত, স্তম্ভিত। আমি সব জায়গায় গেলেও যাদবপুরে যাই না। ওরা পড়াশোনায় ভাল হতে পারে। কিন্তু শুধু পড়াশোনায় ভাল হলে হয় না। সবাই খারাপ না। পড়ুয়ারা ভাল। কিন্তু কয়েকটা আগমার্কা সিপিএম আছে। তারা মনে করে নতুন ছেলেমেয়েরা গ্রামবাংলা থেকে আসলেই অত্যাচার করা অধিকার। জামাকাপড় খুলে নিচ্ছে। আজও লজ্জা নেই”, স্পষ্ট বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
