এবারের পঞ্চায়েত ভোট পর্বের শুরু থেকেই বিরোধীদের হিংসার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। ভোটের ফলপ্রকাশের পরেও থামেনি রাজনৈতিক হিংসা। যার বলি হচ্ছেন শাসক দলের বহু নেতা-কর্মীই। এখন যেমন পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর খেজুরি এবং নন্দীগ্রামে ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। খেজুরির নিচকসবা, জনকা, আলিপুর, বোগা, মতিলালচক, খড়িপুকুরিয়া, বয়ালচক, থানাবেড়িয়া, ওয়াশীলচক, পশ্চিম পনিখা প্রভৃতি এলাকায় সিপিএমের গুন্ডাবাহিনীর তাণ্ডব ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। নিচকসবা গ্রামে বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক ও নেতার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে মোটা টাকা আদায় করা হচ্ছে।
কম যায় না গেরুয়া বাহিনীও। পশ্চিম পনিখা গ্রামের তৃণমূলের জনকা পঞ্চায়েতে সদ্য নির্বাচিত উপপ্রধান নয়নগোপাল বেরার বাড়িতে ব্যাপক বোমাবাজি করে বিজেপি। লুটপাট চালায়। যাওয়ার সময় একাধিক বোমা ফেলে যাওয়া হয়। এবার জনকা গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের জন্য বিজেপি মরিয়া চেষ্টা চালায়। তা সত্ত্বেও সেখানে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। সেই আক্রোশে তৃণমূল সমর্থক ও কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালাচ্ছে। খেজুরি ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল মিশ্র বলেন, খেজুরি জুড়ে ফের বিজেপি বোমা-বন্দুকের রাজনীতি শুরু করেছে। শুধু খেজুরি নয়, নন্দীগ্রামের টাকাপুরাতেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে।