কন্যাশ্রীর অনুষ্ঠান থেকে বাংলার মেয়েদের নিরাপত্তা এবং আর্থিক ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে কন্যাশ্রীর অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘কন্যাশ্রীর মাধ্যমে বাংলার মেয়েদের জীবন আজ সুরক্ষিত’।
কেন একথা বলছেন, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও এদিন তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অষ্টম শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত ছাত্রীদের পড়াশোনায় সাহায্যের জন্য একাধিক বৃত্তি চালু করেছে রাজ্য। উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ওই কার্ডের মাধ্যমে পড়াশোনা বাবদ একজন ছাত্রী ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন ব্যাঙ্ক থেকে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “অনেক ছাত্রী আছে যারা পড়াশোনায় ভাল। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা নেই। তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পান না। সেটা দেখেই আমরা স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড চালু করেছি, যাতে পড়াশোনার জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে’।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কন্যাশ্রী প্রকল্পের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আদতে বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত ভাষণে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও অকপট স্বীকার করে নেন, ‘২০১৩ সালে যখন কন্যাশ্রী চালু হয়েছিল, তখন আমারও সন্দেহ ছিল, কিন্তু আজ এটা বাংলার বড় প্রকল্পের রূপ পেয়েছে। লক্ষ লক্ষ মেয়েরা উপকৃত হচ্ছে। এটা শুধু কোনও অনুদানের প্রকল্প নয়, মেয়েদের উৎসাহিত করা, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগও’।