স্কুলছুটের সংখ্যা কমাতে এবং বাল্যবিবাহ রুখতে ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেন। আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের বহু মেয়ের আগে পড়া বন্ধ হয়ে যেত। কম বয়সে বিয়েও হয়ে যেত অনেক মেয়ের। আবার অপুষ্ট শরীরে মা হয়ে গিয়ে অনেক মেয়েই মারা যেত। এই ছবিটাই বদলে দিতে চেয়েছিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা। পেরেওছেন।
২০১৩ থেকে ২০২৩। এই ১০ বছরে কন্যাশ্রী প্রকল্পে মমতার সরকার খরচ করেছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। আর রেজাল্ট? কেন্দ্র সরকারের তথ্য বলছে বাংলায় মাধ্যমিক স্তরে স্কুলছুটের হার ১৬.২৩ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১.৭৪ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও ১৫.৪ শতাংশ থেকে ৭.০৮ শতাংশ।
গত ১০ বছরে কন্যাশ্রীতে উপকৃত মেয়ে বা বেনিফিশিয়ারির সংখ্যা হয়েছে ৮১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩৪৫ জন। আর চলতি অর্থবর্ষ পর্যন্ত এজন্য খরচ করা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রথম দু’টি ভাগের অর্থাৎ K-1 ও K-2 রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর। প্রথম দু’টি ভাগ মিলিয়েই ১০ বছরের উপভোক্তার সংখ্যা ১৮ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আর K-3’র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরকে। শুরুর দিকে ১৩-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত K-1’র অধীনে প্রত্যেক উপভোক্তা পেত ৫০০ টাকা। পরবর্তীকালে দুই পর্যায়ে তা বাড়িয়ে করা হয় বার্ষিক ১০০০ টাকা। আর, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পরে তারা প্রত্যেকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা পায় K-2’র অধীনে। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৪ আগস্ট, কলকাতার ধনধান্য অডিটরিয়ামে কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি বই প্রকাশ করা হবে। ওইদিন বিশেষ কিছু ঘোষণাও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।