সংসদে মণিপুর ইস্যু নিয়ে তিনি মুখ খুলবেন কিনা সেদিকেই নজর ছিল সকলের। অবশেষে গতকাল বিকেল পাঁচটা বাজতে না বাজতেই বলতে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাঁর প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের দীর্ঘ ভাষণের একেবারে শেষে এল মণিপুর প্রসঙ্গ। সেই সঙ্গে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট, বিশেষত কংগ্রেসকে তুলোধনা করলেন আগাগোড়াই। সব মিলিয়ে মোদি রইলেন মোদিতেই। নিজের ভাষণে ‘পুরনো কাসুন্দি’ই ঘাঁটলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মসনদে বসার পর থেকেই কংগ্রেসকে তুমুল আক্রমণ করে গিয়েছেন মোদী। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেই আক্রমণের ঝাঁজ বেড়েছে অনেকটাই। গতকালও সেই মেজাজেই ধরা দিলেন মোদী। আলাদা করে খোঁচা দিলেন রাহুল গান্ধীকে। আগাগোড়া আক্রমণ শানিয়ে গেলেন ইন্ডিয়া জোটকেও। সেই সঙ্গে তাঁর সরকারের প্রশস্তি ও বিজেপি আমলে দেশের উন্নতির খতিয়ানও মেলে ধরলেন। ২ ঘণ্টা ৭ মিনিটের ভাষণে মণিপুর প্রসঙ্গ এল একেবারে শেষে। এবং সেটাও আসলে বিতর্ক এড়াতেই।
মোদী জানতেন, লাগাতার তাঁর বিবৃতি দাবি করার পরে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। এই অবস্থায় বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার জবাব দিতে গেলে মণিপুরকে একেবারে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, মোদির ভাষণের সময়ে একাধিকবার ‘মণিপুর, মণিপুর’ ধ্বনি শোনা গিয়েছে সংসদে। এরপর বিরোধী সাংসদরা ওয়াকআউট করতেই মণিপুর নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু মণিপুর নিয়ে মুখ খুললেও বিরাট কোনও বার্তা দেননি প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।