সিএজি-র অডিট থেকে জানা গিয়েছে, মোদীর সাধের জনস্বাস্থ্য প্রকল্পের ডেটাবেস বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। যার কারণে অযোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সরকারের। অপর্যাপ্ত যাচাই প্রক্রিয়া এবং নিয়ন্ত্রণের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে রিপোর্টে মত প্রকাশ করেছেন ভারতের কম্পট্রোলার এবং অডিটর জেনারেল।
অডিটে দেখা গিয়েছে, একই আধার কার্ড ব্যবহার করে বহু রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। আবার বহু ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীর নামে গলদ রয়েছে, ভুলভাল জন্মতারিখ দেওয়া হয়েছে, পরিবার সদস্য সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য গেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সংসদে এই অডিট সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়। অডিট রিপোর্টে বহু এমন কারচুপি এবং গলদের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। যাচাই প্রক্রিয়ার অভাবেই এমনটা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩৬টি এমন ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে ১৮টি আধার কার্ড ব্যবহার করে দু’টি করে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। এদিকে তামিলনাড়ুতে দেখা গিয়েছে, মাত্র ৭টি আধার ব্যবহার করে ৪৬৭১টি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে আয়ুষ্মান ভারতে। এদিকে একই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেও ভুয়ো রেজিস্ট্রেশন চলছে। এই ধরনের ভুয়ো সুবিধাভোগীর সংখ্যা কয়েক লাখ।
এর আগে ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে আয়ুষ্মান ভারতের ১৬ হাজার ৮৬৫টি ভুয়ো রেজিস্ট্রেশনের মামলা সামনে আসে। এবং লাদাখে ৩৩৫ জন অবৈধ সুবিধাভোগীর পর্দা ফাঁস হয়। এদিকে এই ভুয়ো সুবিধাভোগীদের ওপর শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতেই সরকারের খরচ হয়েছে ২২.৪৪ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, সংসদে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন বিজেপির নীরদ শেখর এবং জনতা দল ইউনাইটেডের রাম নাথ ঠাকুর।