সোমবারই অনুষ্ঠিত হল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখান থেকেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল, রাজ্যে আরও বাড়তে চলেছে বাংলার জেলার সংখ্যা। বেশ কয়েকটি জেলা ভাগের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য বড় জেলাগুলিকে ভেঙে একাধিক নতুন জেলা তৈরির নীতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। বাংলায় সাত নতুন জেলা তৈরির প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে জেলা ভাগের সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নদিয়া, বীরভূম, মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর জেলাকে ভাগ করে আরও নতুন জেলা তৈরি করা যায় কি না, তা নিয়ে তাদের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সাতদিনের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ওই কমিটিতে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটককে রাখা হয়েছে। এছাড়া থাকছেন মুখ্যসচিব, ভূমিসচিব প্রমুখ। জেলাগুলিকে কীভাবে ভাগ করা যায়, ভৌগোলিক অবস্থান-সহ বিভিন্ন খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সূত্রের খবর, এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ জেলা ভাগ করা নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এর আগেও বড় জেলাগুলিকে ভাগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আরও সাত নতুন জেলা তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। সেগুলি হল, রানাঘাট, বসিরহাট, বহরমপুর-কান্দি, জঙ্গিপুর, সুন্দরবন, ইছামতী ও বিষ্ণুপুর। অর্থাৎ ভাগ হল নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে সুন্দরবন ও সন্দেশখালিকে পৃথক করার কথা বলেছিলেন মমতা। এবার ভাগ করা হতে পারে আরও ছ’টি জেলাকে, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে সূত্র।