কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে মণিপুরে কিছুতেই নিভছে না হিংসার আগুন। এই ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত দেড়শো জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। গণধর্ষণ, নগ্ন করে ঘোরানো, জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মত ঘটনাও ঘটেছে। এবার ফের উত্তপ্ত মণিপুর। গুলি মর্টার গ্রেনেডের হামলায় মৃত্যু ৬ জনের ও আহত ১৬ জন।
মণিপুরের তম্পক গ্রামে পিতা পুত্রসহ তিনজনের মৃত্যুর পর পাল্টা হামলা চালানো হয় চূড়াচাঁদপুর জেলার ফৌজাং ও সংডো গ্রামে যেখানে দুজনের মৃত্যু হয়। তেরখাংসাংবিতে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় এক গ্রামবাসীর। ইম্ফলের সানসাবি এবং থামনাপোকপি গ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা গুলি চালিয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিষ্ণুপুরের একাধিক পুলিস ফাঁড়ি-অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া ১ হাজার ১৯৫টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইম্ফলের ল্যাংগোলে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়েছে ইম্ফলে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় মণিপুর পুলিশ। এইসবের মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হন বছর পঁয়তাল্লিশের এক ব্যক্তি। পূর্ব ইম্ফলের চেকন এলাকাতেও একাধিক বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে।