গত মাসের শেষে ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর শরীর এতটাই খারাপ ছিল যে তড়িঘড়ি ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে চিকিৎসা শুরু হয়। ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রেখে টানা দু’দিন লড়াই চলে। যদিও পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ইতিমধ্যেই ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়েছে তাঁকে। এখন আগের থেকে অনেকটাই ভাল রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এবং তা অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই। যা অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে চিকিৎসকদের। রবিবার আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখনও নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে বুদ্ধদেবকে। বিকেলে স্যুপ খেয়েছেন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এদিকে, সংক্রমণমুক্ত হওয়ায় শনিবার থেকে বুদ্ধদেবের অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া বুদ্ধদেব কেমন থাকেন, তা দেখছেন চিকিৎসকরা। তার পরই পরিস্থিতি বুঝে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার আবার বৈঠকে বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। বুদ্ধদেব কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন এবং বাড়ি ফিরলে তাঁর চিকিৎসা কোন পদ্ধতিতে চলবে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বুদ্ধদেবকে কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত সোমবারই নেওয়া হতে পারে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভাল রয়েছেন ঠিকই, তবে এখনও তাঁকে রাইলস টিউব দিয়েই খাওয়ানো হচ্ছে। খাবার তিনি গলাধঃকরণ করতে পারবেন কি না, পরীক্ষা করে তা দেখা হচ্ছে। চলছে ‘সোয়ালো অ্যাসেসমেন্ট’। কবে রাইলস টিউব খোলা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।