জ্ঞানবাপী আসলে মন্দির না মসজিদ, সেই মীমাংসার দিকেই আপাতত নজর গোটা দেশের। ইতিমধ্যেই এএসআই-এর বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় সায় দিয়েছে আদালত। শুক্রবার থেকে কড়া নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে এই সমীক্ষা। তার মধ্যেই দাবি উঠল, আর এক সমীক্ষার। বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সুমিত রতন ভন্তের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ কিংবা মন্দির নয়। আসলে সেটি একটি বৌদ্ধ মঠ। তাঁর দাবি, যদি এই মর্মে একটি সমীক্ষা চালানো যায়, তাহলে প্রকৃত সত্য উঠে আসতে পারে। আর তাই স্বতন্ত্র এএসআই সমীক্ষার দাবি জানিয়ে খোদ সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশনও দাখিল করেছেন তিনি।
জ্ঞানবাপীতে মন্দিরের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। অন্যদিকে মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি ভিন্ন। এই বিতর্কের জলই গড়িয়েছে আদালতে। যার ভিত্তিতে চলছে এএসআই সমীক্ষা। তবে সেই বিতর্ক একেবারে অন্য দিকে মোড় নিল নতুন এই দাবিতে। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর মতে, দেশে বহু মন্দির গড়ে উঠেছে বৌদ্ধ মঠ ধ্বংস করেই। আর তাই অতীত যদি অনুসন্ধান করতে হয়, তাহলে সঠিক পথেই তা করা উচিত বলে মনে করছেন তিনি। জ্ঞানবাপীতে যে ত্রিশূল এবং স্বস্তিক চিহ্নের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তা বৌদ্ধধর্মের বলেই দাবি এই বৌদ্ধ গুরুর।
তাঁর দাবি, বৌদ্ধ মঠগুলিকে ভেঙে বা বদলে দিয়ে মন্দির কিংবা মসজিদের রূপ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেগুলো তাদের পুরনো রূপেই ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। অগণিত বৌদ্ধ অনুগামীদের এমনটা ইচ্ছা বলেও জানিয়েছেন তিনি। নিজের মতের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বৌদ্ধধর্মই প্রকৃত অর্থে সনাতন। হিন্দু ও ইসলাম ধর্মের থেকেও প্রাচীন বৌদ্ধ মত। আর তাই, বহু মন্দির-মসজিদের নেপথ্যেই থেকে গিয়েছে বৌদ্ধ মঠের ইতিহাস। এমনকী জ্যোতির্লিঙ্গ বলে যা পরিচিত, তা আসলে বৌদ্ধ স্তূপ। সন্ন্যাসীর বিশ্বাস, এএসআই যদি ঠিক পথে সমীক্ষা করে, তাহলে প্রমাণিত হবে যে, এগুলি আদতে বৌদ্ধ মঠই। কেদারনাথ নিয়েও তিনি আলাদা পিআইএল ফাইল করবেন বলে জানিয়েছেন সন্ন্যাসী। তবে, আপাতত তাঁর দাবি হল, জ্ঞানবাপী বৌদ্ধ মঠ কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হোক। আর যদি তা প্রমাণিত হয় তাহলে, হিন্দু কিংবা মুসলিম নয়, বৌদ্ধদের হাতেই তুলে দেওয়া হোক জ্ঞানবাপী।