মোদী পদবি নিয়ে মানহানি মামলায় চলতি বছরের ২৩ মার্চ সুরাট আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। এর পরদিনই, ২৪ মার্চ জনপ্রতিনিধি আইনের অধীনে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়। সরকারি বাসভবনও ছাড়তে বাধ্য হন রাহুল। তবে পাঁচ মাসের আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে সুরাত আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে সেই রায়ের ওপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। আর এতেই কংগ্রেসে শিবিরে রীতিমতো উৎসবের মেজাজ। রাহুলের শাস্তি বাতিল হচ্ছে, এ খবর এআইসিসি সদর দপ্তরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দলের কর্মী-সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। হাত শিবির রাহুলের সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার ‘সম্ভাবনা’কে সাফল্য হিসাবেই দেখছে।
কংগ্রেসের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলে টুইট করে বলা হয়েছে, ’সত্যমেব জয়তে।’ রাহুল নিজে অবশ্য বিশেষ উছ্বাস দেখাননি। তিনি ছোট্ট টুইটে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক, আমার কর্তব্য একটাই। ইন্ডিয়ার ধারণাকে রক্ষা করা।’ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গৌতম বুদ্ধর বাণী তুলে ধরে বলেছেন, ‘সূর্য, চন্দ্র এবং সত্যি কখনও চাপা থাকে না।’ দলের অন্যতম প্রধান মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে যেমন বলে দিচ্ছেন, সংসদে আবার সিংহগর্জন হবে। অধীর চৌধুরী, ডিকে সুরেশদের মতো সাংসদরাও উচ্ছ্বসিত। আপাতত রাহুলের সাংসদ পদ কত তাড়াতাড়ি ফেরানো যায়, সেদিকে সচেষ্ট কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশ হওয়ার পরই কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে দ্রুততার সঙ্গে রাহুলের সাংসদ পদ ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, রায়ের কপি হাতে নিয়ে রাহুল নিজেও যাবেন সংসদের সচিবালয়ে।