বেহালায় লরির ধাক্কায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস রাতে জানিয়েছেন, সৌরনীল সরকারের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের প্রতি তাঁর সমবেদনা জানিয়েছেন।
রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ অরূপ বিশ্বাস সৌরনীলের বাড়িতে যান। তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
বেহালার বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল সৌরনীল। তার বাড়ি হরিদেবপুরে। রোজ সকালে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতেন সৌরনীলের বাবা। শুক্রবারও তেমনই যাচ্ছিলেন। বেহালার চৌরাস্তার মোড়ে রাস্তা পেরোনোর সময়ে বেপরোয়া গতির মাটি বোঝাই লরি পিষে দিয়ে চলে যায় সৌরনীল ও তার বাবাকে! ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৭ বছরের শিশুটির। গুরুতর জখম হন বাবা।
এই ঘটনার পর রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। এদিন স্কুলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পরীক্ষা চলছিল। তাই অনেক অভিভাবক স্কুলের বাইরে অপেক্ষারত ছিলেন। ঘটনার পর তাঁদের ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাও জড়ো হয়ে যান। তাঁদের রোষের মুখে পড়ে পুলিস। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ৮টি গাড়িতে কমপক্ষে। সেই ভাঙচুর চলে বেশ কয়েকটি সরকারি বাসেও। ডায়মন্ড হারবার রোডে মৃতদেহ রেখে শুরু হয় অবরোধ।
চৌরাস্তায় ট্রাফিক গার্ডে অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন ক্ষুদ্ধ জনতা। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালান পুলিশ কর্মীরা। পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিস। ঘণ্টা দুই পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।