বিতর্ক চলছিল বহুদিন ধরেই। শেষমেশ আজ, বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাশ হয়ে গেল দিল্লীর অর্ডিন্যান্স বিল। আজ লোকসভায় এই বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তারপরেই সভাকক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সংসদে আলোচনার সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন, আসলে আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে চাইছে দিল্লীর আপ সরকার। ২০১৫ সালে আপ দিল্লীর ক্ষমতায় আসার আগে আমলাদের পোস্টিং বা বদলি নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু কেজরিওয়ালের আমলেই আমলাদের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী, দিল্লীর আইন প্রণয়নের অধিকার রয়েছে কেন্দ্র সরকারের। সেই কথা মাথায় রেখেই অর্ডিন্যান্স বিল পেশ করা হয়েছে।
এদিন বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটকেও তোপ দাগেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “বিরোধী দলগুলিকে বলতে চাই, শুধুমাত্র জোটে রয়েছেন বলেই দিল্লীর সমস্ত দুর্নীতিকে সমর্থন করবেন না। কারণ আপনাদের জোট থাকলেও বিপুল জয় পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।” এরপরেই নেহরুদের নাম টেনে এনে শাহ বলেন, “জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, বি আর আম্বেদকর-সহ একাধিক নেতারা চেয়েছিলেন, দিল্লী যেন পৃথক রাজ্যের মর্যাদা না পায়। শাহ এই মন্তব্য করতেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, “অমিত শাহ কংগ্রেস নেতাদের প্রশংসা করছেন? এটা দিন না রাত, তা তো বোঝা যাচ্ছে না।” প্রসঙ্গত, ভারতের নানা সমস্যার জন্য একাধিকবার নেহরু-সহ কংগ্রেস নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। যদিও শাহ সাফাই দিয়ে বলেন, তিনি কেবলমাত্র নেহরুর একটি কথা উদ্ধৃত করেছেন। তাঁর প্রশংসা করেননি। নেহরুকে নিয়ে শাহের মন্তব্যের পালটা জবাব দেন সাংসদ রাঘব চাড্ডা বলেন। “লালকৃষ্ণ আডবাণী-সহ একাধিক বিজেপি নেতা দিল্লীকে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলি অমিত শাহের চোখে পড়ছে না”, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে জানান তিনি।