কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে মণিপুরে কিছুতেই নিভছে না হিংসার আগুন। গত ৩ মে থেকে নতুন করে অশান্তি দানা বেঁধেছে এই ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে। সেনা, আধাসেনা নামিয়েও রাশ টানা যাচ্ছে না হিংসায়। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধেয় মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে এবার ভয়ানক চাপে পড়ে গেল মোদী সরকার। এমনিতেই বাদল অধিবেশনে মণিপুর নিয়ে সরকারকে ঘেরার পরিকল্পনা বিরোধীদের ছিলই। কংগ্রেসের তরফে জানান হয়েছিল, বিরোধীরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদ থেকে অমিত শাহর ইস্তফা দাবি করতে পারেন। কিন্তু তার মধ্যেই মণিপুরে যে নারকীয় ঘটনার ছবি ভাইরাল হয়েছে, তা বিরোধীদের অসন্তোষকে শতগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মণিপুরে গত ৪ মে দুই মাঝবয়সি মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানোর অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। কাংপোকপি জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হল আড়াই মাস আগে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনার খবর এতদিন জানতই না মণিপুরে বিজেপি সরকার। রাজ্যে পুলিশি ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কাঠামোর যে হাল তা এর থেকেই স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপির ঘরের মধ্যে থেকেই দাবি উঠেছে যে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে হবে। উল্লেখ্য, মণিপুর বিজেপি শাসিত রাজ্য। সেখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার চলছে বলে অমিত শাহরা দাবি করতেন। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, সেই ইঞ্জিন কতটা বিকল তা বেআব্রু হয়ে যাওয়ায় এবার বীরেন সিংকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া ছাড়া মোদী-শাহর কাছে আর উপায় নেই।