কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে মণিপুরে কিছুতেই নিভছে না হিংসার আগুন। গত ৩ মে থেকে নতুন করে অশান্তি দানা বেঁধেছে এই ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে। সেনা, আধাসেনা নামিয়েও রাশ টানা যাচ্ছে না হিংসায়। এই পরিস্থিতিতে জাতিগত হিংসা থামাতে সাহায্য করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। মণিপুর সফররত তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে এমনটাই জানিয়েছেন খোদ সে রাজ্যের রাজ্যপাল অনুসুইয়া উইকে। তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের তরফেই এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদ সুস্মিতা দেব এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মণিপুরের রাজ্যপাল তাঁদের বলেছেন যে, মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সাহায্য করতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘মণিপুরের রাজ্যপাল আমাদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন। উনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে মণিপুরের মানুষদের সাহায্য করতে পারেন।’ সুস্মিতা এ-ও জানিয়েছেন যে, সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন অনুসুইয়া। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যপালের দীর্ঘ সময় কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সুস্মিতা।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে মণিপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বাধীন দলে ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদ সুস্মিতা। মণিপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বুধবার দুপুরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কুকি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পাহাড়ি চূড়াচাঁদপুর জেলার পাশাপাশি, মেইতেই জনগোষ্ঠী প্রভাবিত ইম্ফল উপত্যকার কয়েকটি ত্রাণ শিবিরও পরিদর্শন করেন।
সবশেষে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেন। জানা গিয়েছে, মণিপুর সফরের অভিজ্ঞতা জানিয়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা রিপোর্ট আকারে তুলে দেবেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। এই প্রসঙ্গে সুস্মিতা বলেন, ‘ত্রাণশিবির গুলিতে বেশ কিছু অব্যবস্থা আমাদের নজরে এসেছে। বিশেষত, হিংসায় ঘরছাড়া পরিবারগুলির শিশুরা খুবই কষ্টে রয়েছে। আমরা সব পক্ষের সঙ্গেই কথা বলব। কোনও বিতর্ক চাইছি না।’