এবার এক দশক পর সাহারা গোষ্ঠীর ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে জমা রাখা টাকা ফেরত পাওয়ার পথে লগ্নিকারীরা। সাহারা গোষ্ঠীর কোঅপারেটিভ সোসাইটিতে অর্থ রাখার প্রমাণ দিয়ে অনলাইনে দাবি জানাতে হবে তাঁদের। এর জন্য সেন্ট্রাল রেজিস্ট্রার অফ কোঅপারেটিভ সোসাইটিসের তত্ত্বাবধানে নতুন একটি পোর্টালও খোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাহারা গোষ্ঠীভুক্ত দু’টি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে টাকা জমা রাখার ঘটনা ঘিরে বিতর্ক শুরু প্রায় দশ বছর আগে। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি সাহারা গোষ্ঠীকে নির্দেশ দিয়েছিল অবিলম্বে লগ্নিকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য। কিন্তু সাহারা গোষ্ঠী তা ফেরাতে পারেনি। যার জেরে গ্রেফতার হতে হয় সাহারা কর্তা সুব্রত রায়কে। তিন বছরেরও বেশি সময় বিচারাধীন বন্দি থাকার পর জামিন পান সাহারা কর্তা।
জামিন পাওয়ার যুক্তি হিসাবে সুব্রত রায়ের আইনজীবী যা বারবার বলেছিলেন, তা হল সংস্থা যে সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করতে পারলে লগ্নিকারীদের অর্থ ফেরানো যাবে তার জন্যই সাহারা কর্তাকে জামিন দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু জামিন পাওয়ার পরেও এতদিনে তা ফেরানোর পথ করতে পারেননি সুব্রত রায়। শেষ পর্যন্ত সাহারার কাছে জমা থাকা অর্থ ফেরত পাবেন লগ্নিকারীরা।
সুপ্রিম কোর্টের ২৯ মার্চের এক নির্দেশনামার প্রেক্ষিতে সিআরসিএস একটি পোর্টালের মাধ্যমে ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে লগ্নিকারীদের। তবে জন্য পোর্টালে নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য ও প্যান এবং আধার কার্ডের তথ্য দিয়ে আবেদন করলে টাকা ফেরত পাবেন তাঁরা। সেবির মধ্যস্থতায় সাহারা গোষ্ঠীর থেকে পাওয়া পাঁচ হাজার কোটি টাকা ওই পোর্টালের মাধ্যমেই ফেরানো হবে মালিকদের।