দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাংলায় একশ দিনের কাজের টাকা একদম বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই খাতে বাংলার বকেয়া পাওনা প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করছে না। নতুন করে ১টাকাও দিচ্ছে না। সেই সঙ্গে আবাস যোজনায় প্রাপ্য ৮২০০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে দিল্লি। বিপরীতে রাজ্যে ভয়ঙ্কর আর্থিক দৈন্য সত্ত্বেও লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এহেন পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের পর বিজেপির মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে যে, এতে কি দলের ভাল হল? গ্রামের মানুষের টাকা আটকে তৃণমূলের হাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়া হল না কি? দিলীপ ঘোষ দলের বৈঠকেই পষ্টাপষ্টি প্রশ্ন তুলেছেন, ৬০ শতাংশ বুথে কোনও অশান্তি হয়নি। তাও বিজেপির খারাপ ফল হল কেন?
এরই মধ্যে নতুন বিড়ম্বনা বিজেপির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। তা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমানায় বাংলায় দারিদ্র ধারাবাহিক ভাবে কমছে। পূর্বতন যোজনা কমিশনের নাম পরিবর্তন করে নীতি আয়োগ বানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই নীতি আয়োগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল—এই পাঁচ বছরে বহুমুখী দারিদ্র সূচকে বাংলায় গরিব মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।
বড় কথা হল, শুধু ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে দারিদ্র কমেছে এমন নয়। এই সূচক হল বহুমুখী। অর্থাৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, প্রসূতির স্বাস্থ্যর মতো বিষয়ও এখানে গণনার মধ্যে ধরা হয়। জেলাভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বাংলায় দারিদ্র সবচেয়ে কমেছে পুরুলিয়া জেলায়। সেই সঙ্গে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর। পুরুলিয়া বাদে এই চার জেলায় সংখ্যালঘু জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য।