হার মানবে সেলুলয়েডের কাহিনিও! চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় কার্যত বাকরুদ্ধ প্রত্যক্ষদর্শীরা। এখনও আতঙ্ক দানা বেঁধে রয়েছে তাঁদের মনে। ঘটনাটি রাজস্থানের। যাত্রীতে ঠাসা সরকারি পরিবহণ বাসে এক গ্যাংস্টার আর তার শাগরেদকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে যাচ্ছিল পুলিশ৷ আচমকাই সেখানে চড়াও হয় ৮ জন আততায়ী৷ তারপর পুলিশের সামনেই গ্যাংস্টারকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায় তারা৷ টানা দু’মিনিট চলল সেই ঘটনা৷ প্রাণভয়ে দরজা জানলা দিয়ে পালাতে থাকলেন যাত্রীরা৷ এহেন ভয়ঙ্কর ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ গত ১২ই জুলাই রাজস্থানের ভরতপুর এলাকার আমোলি টোল প্লাজার কাছে কাণ্ডটি ঘটে। গত মঙ্গলবার ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে৷ যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন খবর’।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, কুলদীপ জাঘিনা এবং তার শাগরেদ বিজয়পাল খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত৷ গত ১২ জুলাই পুলিশি প্রহরায় তাদের জয়পুর জেল থেকে ভরতপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ কিন্তু, প্রিজন ভ্যানে নয়, সরকারি বাসে৷ সঙ্গে ছিলেন ৬ জন পুলিশকর্মী৷ আমোলি টোলপ্লাজার কাছে বাসটি পৌঁছতেই ঘটে সেই অনভিপ্রেত ঘটনা৷ বন্দুক নিয়ে সেখানেই অপেক্ষা করছিল ৮ জন আততায়ী৷ বাস থামতেই প্রথমে তাদের একজন বাসে উঠে পুলিশের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়৷ তারপর বাসের পা দানিতে দাঁড়িয়ে সোজা বাসের ভিতরে বন্দুক তাক করে গুলি চালায় অন্যজন৷ তারপর বাইরে নেমে এসে ফের গুলি করে।
স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের বশবর্তী হয়ে বাস থেকে বেরোতে শুরু করেন যাত্রীরা৷ শুধু দরজা নয়, বাসের জানলা দিয়েও গ্যাংস্টারকে লক্ষ্য করে গুলি চলে৷ আকস্মিক হামলায় খানিকটা হলেও হকচকিয়ে যায় পুলিশ৷ এরপর পাল্টা জবাবও দেয়৷ তবে লাভ হয়নি৷ হামলায় নিহত হয় গ্যাংস্টার কুলদীপ৷ গুরুতর আহত হয় তার শাগরেদ৷ উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জমি দখলকে ঘিরে ভরতপুরের বাসিন্দা কৃপাল জাঘিনা নামে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কুলদীপ এবং বিজয়পালকে। সেই মামলার শুনানির জন্যই ভরতপুর আদালতের উদ্দেশে তাঁদের নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, আততায়ীদের ৮ জনের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই খোঁজ শুরু হয়েছে বাকি দুজনের।