বাংলার ১১টি জেলাকে ‘ভূমি সম্মান’ দিলেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি। জেলায় জেলায় ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ যেমন -জমির নথিভুক্তিকরণ, ভূমি কর সম্পর্কিত মানচিত্র, জমির রেকর্ড ইত্যাদি, ডিজিটালাইজেশনে যেসব রাজ্য প্রশংসনীয় ভূমিকা নিয়েছে, তাদেরই এই সম্মান দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দেশের মোট ৭৫টি জেলাকে এই সম্মান প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি। যার মধ্যে ১১টি অর্থাৎ প্রায় ১৫ শতাংশই বাংলার।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সার্বিক গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য জমির রেকর্ড ডিজিটাইজেশন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কল্যাণমূলক প্রকল্পের রূপায়নে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে ভূমি দপ্তরের রেকর্ড সেকশনের সযুক্তিকরণ অত্যন্ত জরুরি’। এই প্রকল্পে আধার নম্বরের মতো জমিরও ‘ল্যান্ড পার্সেল আইডেনটিফিকেশন নম্বর’ দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বাংলার হাওড়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া-সহ যে ১১টি জেলায় বিভিন্ন তথ্যের ১০০ শতাংশ ডিজিটালাইজেশন হয়ে গিয়েছে, তাদেরই এদিন সম্মানিত করেছেন রাষ্ট্রপতি। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতির থেকে কয়েক মাস আগেই প্ল্যাটিনাম পুরস্কার পেয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স ও আইটি দপ্তর ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ পুরস্কারের ‘পাবলিক প্ল্যাটফর্ম’ বিভাগে প্ল্যাটিনাম পুরস্কার দিয়েছে বাংলাকে।
একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, সড়ক প্রকল্প, একাধিক প্রকল্পে রাজ্যের বিপুল টাকা বকেয়া রেখেছে কেন্দ্র। ‘অর্থনৈতিক অবরোধ’-এর অভিযোগ তুলে বকেয়ার দাবিতে বহুবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিকবার দিল্লিতে চিঠি পাঠিয়েছে নবান্ন। কিন্তু, সবটাই ‘অরণ্যে রোদন’-এ পর্যবসিত হয়েছে। এমন তরজার আবহে বাংলার এগারোটি জেলাকে সম্মানীত করল কেন্দ্র। মঙ্গলবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এই সম্মান নিলেন পঞ্চায়েত ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা। কেন্দ্রের তরফে তাই এই জেলাগুলি ‘প্ল্যাটিনাম জেলা’র তালিকায় স্থান পেয়েছে।