এর আগে ২০২১ সালের বন্যায় ভেসে গিয়েছিল কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের বিস্তীর্ণ অংশ। সেই সময় জাতীয় সড়ক পেরোতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কার বলি হয়েছিল ১১টি পশু। এছাড়াও বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল একটি এক শৃঙ্গ বিশিষ্ট গন্ডার-সহ ২৪টি পশুর। এবারও তেমনি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আসামের কাজিরাঙা পার্কে। সেখানে দু’কূল ছাপিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র। তারই দাপটে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে অভয়ারণ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে সেই এলাকায় যে বন্য জন্তুদের বাস, তারা প্রাণ বাঁচাতে ছুটে অরণ্যের বাইরে লোকালয়ে চলে আসছে।
প্রসঙ্গত, পর্যটকদের কাছে কাজিরাঙার অন্যতম বড় আকর্ষণ আগোরাতলি রেঞ্জ। সেই এলাকা পুরোটাই চলে গিয়েছে ব্রহ্মপুত্রের জলের তলায়। পরিস্থিতি এমনই যে কিছু কিছু জায়গায় প্রায় সাত ফুট জল জমে রয়েছে। ফলে সেই এলাকায় যে বন্য জন্তু-জানোয়ারের বসবাস, তাদের প্রাণ বাঁচাতে পালাতে হচ্ছে। তারা আশ্রয় নিয়েছে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায়। আবার কিছু পশু ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে অন্য ধারে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে সমস্যা আরও বাড়ছে বনকর্মীদের। কারণ এই সময়েরই অপেক্ষায় থাকে চোরাশিকারিরা। এই সময় পশুরা বিভ্রান্ত থাকে। ফলে তাদের ফাঁদে ফেলে মেরে দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। বন দফতরের কর্মীদের সে দিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে। পাশাপাশি ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরোনোর সময়ও দুর্ঘটনা ঘটছে আকছার।
