শেষ কবে এমন হয়েছে কেউ স্মরণ করে বলতে পারবে না। বরং বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠক যেন নতুন মাইলফলক তৈরি করল।
এদিন দুপুরে জোটের বৈঠক থেকে বেরিয়ে সপা নেতা অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জোটের বৈঠক ভাল হয়েছে। গঠনমূলক হয়েছে। এই বৈঠকের ফল ভাল হবে। তা আগামী দিনে দেশের জন্যও ভাল হবে’।
দেখা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সাউন্ড বাইট’ কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করে কংগ্রেস। অর্থাৎ মমতার কথা উদ্যোগী হয়ে কংগ্রেসই ছড়িয়ে দিতে চাইছে গোটা দেশে। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, ভারতের গত তিন দশকের রাজনীতিতে এই চিত্র একেবারে বিরল।
বেঙ্গালুরুতে জোটের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে কংগ্রেস মর্যাদা দিচ্ছে তা সোমবার সন্ধের বৈঠকেই পরিষ্কার হয়ে যায়। শুরুতে ঠিক ছিল যে মমতা নৈশভোজের বৈঠকে যাবেন না। কারণ, পায়ের ব্যাথা পুরোপুরি সারেনি। ডাক্তাররা এখনও মুভমেন্ট কম রাখতে বলছেন। কিন্তু নাছোড় ছিল কংগ্রেস। সনিয়া গান্ধী দূত মারফৎ মমতাকে বার্তা পাঠান যে নৈশভোজের সভায় তাঁকে আসতেই হবে। সোনিয়া গান্ধীর ঠিক ডান পাশে মমতার বসার আসন রাখা হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিতে অনেক কিছুই বার্তাবহ। সোমবারের বৈঠকে সনিয়ার পাশে যেভাবে মমতাকে বসার জন্য আসন রাখা হয়েছিল, তাতেই স্পষ্ট যে তৃণমূলনেত্রীকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিচ্ছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার মমতার কথাতেও পরিষ্কার যে এখনও পর্যন্ত জোটের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট।