ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হিরো আলম। সোমবার ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হলো তাঁকে। সেখানে বেধড়ক মারধরের জেরে জখম হিরো আলমকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দু’জনকে প্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ঢাকার বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন আলম। তখনই কয়েক জন এসে তাঁকে বলেন, ‘এটা টিকটক ভিডিয়ো করার জায়গা নয়। এটা ভোটকেন্দ্র, এটা গুলশান-বনানী’। এরপরই তাঁর ওপর চড়াও হন তাঁরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের দরজার বাইরে নিয়ে যান। উত্তেজিত জনতা তখনও তাঁকে ধাওয়া করতে থাকেন। তবে স্কুল থেকে বার হওয়ার পর হিরো আলমের সঙ্গে আর থাকেননি পুলিশ কর্মীরা৷
তিনি তখন ১৬ নম্বর সড়কের দিকে যান। এরপরই বিক্ষুব্ধরা হিরো আলমকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন। তারপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ কোনও রকমে ঘটনাস্থল থেকে পালান হিরো আলম। উত্তেজিত লোকজন তখন তাঁকে পিছন থেকে ধাওয়া করে। শেষপর্যন্ত ২৩ নম্বর সড়কে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন আলম৷ পরে গাড়িতে করে এলাকা ছাড়েন তিনি। অভিযোগ, হামলাকারীদের গলায় ‘নৌকা’ প্রতীকের ব্যাজ ঝুলতে দেখা গিয়েছে।