সদ্যই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনপর্ব। তবে গণনা ও ফল ঘোষণার পরও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় জুড়ে অব্যাহত অশান্তির আবহ। শুক্রবার সকালে ভাঙড়েরই বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে ভাঙড়ে যেতে বাধা দেওয়া নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে শোরগোল। নওশাদের অভিযোগ, ভাঙড়ের নিখোঁজ আইএসএফ কর্মী জাহানারা খাতুনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে নিউটাউনের কাছে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। আর এনিয়ে এবার নওশাদের দলের উদ্দেশ্যেই একের পর এক তোপ দাগলেন ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শওকত মোল্লা৷ নওশাদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ এনে শওকত বলেন, ‘‘ভাঙড় বিধানসভা তিন থানা আছে। ওঁকে যেখানে আটকেছে সেখানে আমরা গতকাল যাইনি৷ ভাঙড়কে উত্তপ্ত করতে যাওয়া ওঁর উদ্দেশ্য। আজ যাচ্ছে উস্কানি দেওয়া, গ্রাম রক্তাক্ত করার মানসিকতা নিয়ে৷ এটাই ওঁর প্রধান কাজ।’’ এছাড়া, নিখোঁজ আইএসএফ কর্মী জাহানারা খাতুনকে নিয়েও মন্তব্য করেন শওকত৷ ‘‘জাহানারা বিবি শুনেছি দিঘায় আছে। পুলিশ কথা বলেছে শুনলাম। আর হারা লোককে কেন নিয়ে যেতে যাব?’’, প্রশ্ন তাঁর।
পাশাপাশি, এদিন নওশাদ সিদ্দিকি ও শুভেন্দু অধিকারীকে একই পরিসরে এনে শওকতের মন্তব্য, ‘‘নওশাদ আর শুভেন্দু এক কথা বলছে। আমাকে কাল হুমকি দিল। নওশাদ ভাবুন সময় আর বেশি নেই। হাতে আর তিন বছর সময়। মানুষ শূন্য করে বাড়ি পাঠাবে। আমাদের কর্মীদের সার্টিফিকেট কেড়ে নিয়েছে। রকেট, গ্রেনেড, বন্দুক বানাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া করছে। নকশালরা ঢুকছে৷ রাস্তা কাটছে। গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখেছে।’’ এরপরেই ভাঙড়ের তিন রাজনৈতিক কর্মী খুনে সিট তদন্ত করে তদন্তের দাবি করেন শওকত৷ তাঁর দাবি, ‘‘তিন খুনের জন্য সিট গঠিত হোক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি। আনিস খানের কেসে সিট হলে, এটা কেন হবে না? হ্যান্ড গ্রেনেড কারা ব্যবহার করে? বাংলার মস্তানরা ব্যবহার করে না। নকশালরা ব্যবহার করে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে ওখানে। তাণ্ডব করছে তারপরেও ওরা৷ সিট গঠন করুক। কোন রং না দেখে প্রশাসন দেখুক।’’ শওকত জানান, ভোটের সময় র্যাফের লোকেদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল আইএসএফ। জঙ্গলমহলের কায়দায় তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর পুরো ঘটনাটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক।