বিজেপি জিতেছে নন্দীগ্রামের এমন গ্রামগুলিতে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের উপর ভয়ংকর হামলা শুরু হয়েছে। একের পর এক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভেঙে দিয়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া-গুণ্ডারা। গোটা ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত গুরুতর জখম হয়েছে ২৭ জন। এর মধ্যে ১৪ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের নিয়ে এসে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পিজিতে ভর্তি হওয়া গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে একজন জয়ী মহিলা প্রার্থী রয়েছেন। তাঁকে শুভেন্দু অধিকারী ডাকছেন এবং বিজেপিতে যোগ দিতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘বিজেপিতে যোগ না দিলে ওই জয়ী মহিলাকে ধর্ষণ করা হবে বলে গেরুয়া গুন্ডারা ভয় দেখিয়েছিল। মানসিকভাবে চরম বিধ্বস্ত ওই জয়ী প্রার্থী এখনও প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, জয়ী অনেক তৃণমূল প্রার্থীর সার্টিফিকেট ছিনতাই করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু শরীরে গুরুতর আঘাত নিয়েও সেই সার্টিফিকেট বাঁচিয়ে রেখেছেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা’।
এক মহিলাকে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। গত দু’দিন ধরে নন্দীগ্রাম ২-এর বয়াল-২ অঞ্চলের রামচকে তৃণমূল নেতা-কর্মীর বাড়ি বেছে বেছে তাণ্ডব চালিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। বাড়ির ধান,চাল,দামি জিনিস থেকে হাঁস-মুরগি পর্যন্ত লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এলাকায় ৬০টি বাড়িতে লুঠপাট হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করেছে ১০টি বাড়ি। বয়ালের গ্রাম ছেড়ে ৩০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সোনাচূড়া ও গোকুলনগর এলাকায় বিজেপি কর্মীদের তাণ্ডব আরও বেশি বলে অভিযোগ।