রাজ্যে পঞ্চায়েতের ভোট পর্ব মিটে গিয়েছে। আর তারপরেই কর্মী নিয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে কত অনুমোদিত পদ রয়েছে এবং সেগুলিতে কত কর্মী রয়েছে তার হিসাব নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরগুলিকে এই প্রসঙ্গে চিঠি পাঠিয়েছে কর্মীবর্গ এবং প্রশাসনিক সংস্কার দফতর যা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তার জেরেই মনে করা হচ্ছে পুজোর পরেই রাজ্য সরকারের বেশ বড় সংখ্যক পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে মমতা সরকার।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক, আপার ডিভিশন ক্লার্ক, হেড ডিভিশন অ্যাসিন্ট্যান্ট, সেকশন অফিসারদের জন্য কটি পদ রয়েছে এবং সেখানে কজন কাজ করেন তার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে কর্মীবর্গ এবং প্রশাসনিক সংস্কার দফতর থেকে। ৩০ জুনের নিরিখে চাওয়া হয়েছে এই তথ্য। প্রশাসনিক স্তরের কর্তাদের একাংশের অনুমান, কত শূন্যপদ রয়েছে তা নির্দিষ্ট করে জানতে চাইছে নবান্ন যাতে শূন্য পদগুলিতে অবিলম্বে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব হয়। স্বাভাবিকভাবেই তা সরকারি কর্মীদের একাংশের কাছে অন্যতম বড় সুখবর। কারণ সেক্ষেত্রে তাঁদের প্রমোশনের সম্ভাবনা থাকছে।
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, সেক্রেটেরিয়েট, ডিরেক্টোরেট ও রিজিওনাল অফিসের সমস্ত পদন্নোতি আগামী ৩ মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন দফতরের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি পদ মর্যাদার আধিকারিক, জয়েন্ট সেক্রেটারি, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, স্পেশাল অফিসারদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর ফলে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ব্যাপক লাভ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ল, কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন পদে ১ লাখ ২৫ হাজার সরকারি কর্মী নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে গ্রুপ ডি পদে ১২ হাজার এবং গ্রুপ সি পদে ৩ হাজার সরকারি কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।