এবারের পঞ্চায়েত ভোট পর্বে শুরু থেকেই ‘প্রতিরোধের’ নামে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে দিকে দিকে। ভোট শেষের পরেও সেই ধারা অব্যাহত। যেমন ফের ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটল মালদহ জেলায়। সেখানে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গভীর রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি মালদহের ইংরেজবাজার থানার নরহাট্টা পঞ্চায়েতের আনন্দিপুর এলাকার।
জানা যায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই তৃণমূল কর্মী ভোট প্রচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করেছিলেন তৃণমূলের হয়ে। তবে, সে-বিষয়ে পরিবারের কেউ কিছু জানত না। গভীর রাতে বাড়িতে আগুন লাগানোর পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। তড়িঘড়ি ঘুম থেকে উঠে দ্রুত আগুন নেভান বাড়ির সবাই। সজাগ থাকায় এদিন বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ওই তৃণমূল কর্মীর পরিবার-সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মীর নাম আজিমউদ্দিন শেখ। কদিন ধরেই তিনি তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। অন্যান্য নির্বাচনের মত এবারও পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট-প্রচার করেছিলেন। সেই সময় কোনওরকম বাধা পাননি।
আনন্দিপুর বুথে তৃণমূলকে হারিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এলাকায় তৃণমূল পরাজিত হতেই সক্রিয় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে দুষ্কৃতিদের তাণ্ডব। গভীর রাতে কেউ বা কারা তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও অগ্নিসংযোগের পরপরই পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি আগুন নিভিয়ে ফেলা যায়। ফলে বড় কোনও অঘটন করতে পারিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই গোটা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি তৃণমূল কর্মী আজিমউদ্দিন শেখ। তবে এলাকাবাসীরা মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই এই ঘটনা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনারুল হক বলেন, ‘ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করায় দুষ্কৃতীরা এখন বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে।’