রাজ্যে সদ্যই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনপর্ব। ভোট চলাকালীন হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। এবার সেই অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার পিছনে থাকা দোষীদের খুঁজে বের করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। পাশাপাশি ভাঙড়ের কাশীপুর এলাকা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন করে যাতে অশান্তি আর না হয় তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলবৎ করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বুধবার সকাল থেকে ওই এলাকায় গ্রামে গ্রামে চলে পুলিশের টহল চারপাশে পড়ে থাকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বোমা-গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। কোন দিক থেকে কীভাবে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করেছিল, এলাকাগুলি দেখে তার তদন্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, সেদিন রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী রেজাউল গাজির। দেহ বাড়িতেই রেখে দিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন দীর্ঘক্ষণ। পুলিশ নিতে এলে রেজাউলের পরিবার দেহ তাদের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করে। পরিবারের দাবি ছিল, নওশাদ সিদ্দিকি এসে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। যদিও নওশাদ নিজে রেজাউলের বাড়িতে যান নি। আইএসএফের দু’জন প্রতিনিধিকে রেজাউলের বাড়িতে পাঠান। শুধু তাই-ই নয়, রেজাউলের বাবার সঙ্গে নওশাদ নিজে ফোনে কথাও বলেন।পাশাপাশি, ভাঙড়ে ঘটনায় সিআইডি নেয়, সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক। বুধবার সন্ধ্যায় ভাঙড়ে এই অশান্তির এবং মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।