স্বাধীনোত্তর সময় থেকেই রাজভবনগুলো মোটামুটি ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব বুঝে চলত। তবে নরেন্দ্র মোদী জমানায় সেই ধারণা তীব্র হয়েছে। রাজভবনগুলির আচার আচরণ দেখে অনেকেরই মনে হচ্ছে যে তা কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের শাখা অফিসে পরিণত হয়েছে। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালদের ভূমিকা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
বাংলায় পঞ্চায়েত শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার আবেদন নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গোড়া থেকে অতিসক্রিয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সহ বিজেপির দিল্লির টিমের সদস্যরা। তার মধ্যে আবার ডেকে নেওয়া হয়েছে বিএসএফের আইজি সতীশ চন্দ্র বুদাকোটিকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ওই বৈঠকে সামিল হবেন বলে খবর।
এই ছবিটা স্পষ্ট হতেই তৃণমূল অভিযোগ করেছে যে রাজভবনে চক্রান্তমূলক বৈঠক বসেছে। তৃণমূলের অভিযোগ রাজ্যপাল হলেন বিজেপির দলদাস। রাজভবনে বসে বাংলায় সরকার ও শাসক দলকে বিব্রত করার ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।
বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস ও হিংসার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তা ছাড়া তিনি নিত্য নৈমিত্তিক ভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে যেসব বিশেষণ ব্যবহার করছেন তা বেনজির।