ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে রাজনীতিতে নেমেছিলেন সামসুদ্দিন খান। নামটা বঙ্গ রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একেবারেই পরিচিত নয়। তবে ভাইয়ের নাম যদি বলা হয়, তাহলেই একঝটকায় চিনে ফেলবেন এই তরুণকে। এই সামসুদ্দিন খান প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের দাদা। তাঁকেই এবারের পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট দিয়েছিল সিপিএম। ভেবেছিলেন, শক্তিশালী তৃণমূলকে হারিয়ে জয়লাভ করবেন। কিন্তু বাস্তবে সেই স্বপ্ন সফল হল না। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল পরাজিত হয়েছেন তিনি।
হাওড়ার আমতা এলাকার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু হয়েছিল গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে। মাঝে একটা বছর কেটে গিয়েছে, কিন্তু সঠিক বিচার এখনও মেলেনি। সেই নিয়ে চাপা একটা ক্ষোভ ছিলই আনিসের পরিবারে। এই আবহেই তাঁর দাদা সামসুদ্দিন খানকে আমতা দু’নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ৪১ নম্বর আসনে প্রার্থী করে সিপিএম। এরপর তাঁর সমর্থনে দেওয়াল লিখতে দেখা যায় আনিসের বাবা সালেম খানকেও। তাঁরা বলেছিলেন, ভাই আনিসের অপূর্ণ স্বপ্নগুলো পূরণ করতেই দাদা ভোটের ময়দানে নেমেছেন।
তবে শেষ অবধি তা হল না। স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপেই আটকে গেলেন সামসুদ্দিন। পঞ্চায়েত ভোটে পরাজিত হলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে। যদিও ভোটের ফলপ্রকাশের পর এখনও অবধি প্রকাশ্যে কোথাও মুখ খুলতে দেখা যায়নি আনিসের পরিবারের কাউকে। আনিস খানের মামা সিপিএম প্রার্থী সাবির খানও আমতার কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন।