মঙ্গলবারই দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিগ্রহের অভিযোগের তদন্তে যা প্রমাণ মিলেছে, তাতে সহজে রেহাই পাবেন না বিজেপি সাংসদ। অন্তত ৫ বছরের জেল হতে পারে তাঁর। আর এই খবর সামনে আসার পরই মেজাজ হারালেন ব্রিজভূষণ। ক্যামেরার সামনেই সাংবাদিকের উপর ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকী ভাঙল সাংবাদিকের মাইকও।
গত ১৫ জুন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই চার্জশিটে। মহিলাদের শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্তা-সহ বেশ কয়েকটি ধারার উল্লেখ রয়েছে। একই কুস্তিগিরকে একাধিকবার যৌন হেনস্তার কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই দিল্লি পুলিশের দাবি, কোনওমতেই শাস্তি এড়াতে পারবেন না ব্রিজভূষণ। আইনের ধারা মেনেই কঠোর শাস্তি পাবেন তিনি। অন্তত ৫ বছরের জেলও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের এই দাপুটে সাংসদের। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বেরতেই এই নিয়ে ব্রিজভূষণকে প্রশ্ন করেন এক মহিলা সাংবাদিক। তাতেই মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি তিনি।
চার্জশিট নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে ব্রিজভূষণ প্রথমে বলেন, ‘এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’ এরই তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় যে বিজেপির কি উচিত তাঁকে বহিষ্কার করা? ব্রিজভূষণের জবাব, ‘আপনার জন্য আমার কাছে কোনও মশলা নেই।’ কিন্তু এতেও হাল ছাড়েননি ওই সাংবাদিক। ফের তাঁর দিক থেকে ধেয়ে যায় প্রশ্নবাণ। জানতে চাওয়া হয় ব্রিজভূষণ কি ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেবেন? এতে আরও রেগে যান ব্রিজভূষণ। বলেন, ‘কেন ইস্তফা দেব? কোন যুক্তিতে ইস্তফা চাইছেন?’ এরপরই বাকি প্রশ্ন এড়িয়ে গাড়িতে উঠে পড়েন তিনি। গাড়ির কাচ বন্ধ করার সময়ই মাইক ভাঙে ওই সাংবাদিকের।