লোকসভা নির্বাচনের আগেই পঞ্চায়েত ভোটের ফলে বিজেপির অস্বস্তি বাড়াল উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল। এমনকী, মতুয়াগড়ও। উত্তর থেকে সাতটি ও জঙ্গলমহল থেকে পাঁচটি, মোট ১২টি আসন গত লোকসভা ভোটে পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। একুশের বিধানসভা ভোটে ধাক্কা খেলেও গড় পুরোপুরি ভেঙে পড়েনি। কিন্তু পঞ্চায়েতের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল ভরাডুবি দশা। যা মুহুর্তে পৌঁছে গিয়েছে দিল্লির দরবারেও। প্রমাদ গুনছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও। সূত্রের খবর, কেন এই বিপর্যয় তা নিয়ে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে দিল্লির তরফে।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ বিজেপির বড় ভরসা ছিল। সেখান থেকে একাধিক জেলাপরিষদ আসবে বলে দাবি করেছিলেন রাজ্য নেতারা। কিন্তু হতাশ হতে হয়েছে তাদের। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাথমিক ফল দেখে জেলা পরিষদ দখলের আশাও মঙ্গলবার রাতে ছেড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। আবার জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরেও গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসন দখলে বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, এই চারটি লোকসভা কেন্দ্রই যেখানে বিজেপির দখলে রয়েছে। বাঁকুড়ার সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। একই অবস্থা মতুয়া গড়েও। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নিজের বুথেই পরাজয় হয়েছে বিজেপি প্রার্থীর৷ গাইঘাটা ব্লকে ভরাডুবি। গাইঘাটার ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টিতে তৃণমূল জিতেছে। একটি ত্রিশঙ্কু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে ফল ভাল না হওয়াটা চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির কাছে অশনি সংকেত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।