পর্যুদস্ত হল পদ্মশিবির। ঘাসফুলেই আস্থা রাখলেন কোচবিহারের শীতলকুচির বাসিন্দারা। শত চেষ্টাতেও সেখানে দাঁত ফোটাতে ব্যর্থ বিজেপি। ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই জয়ী তৃণমূল। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিকাণ্ডে ৪ জনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে খবরে উঠে এসেছিল শীতলকুচি। ২০২১ সালের ১০ই এপ্রিল, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের চতুর্থ দফা ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে ঘটে গিয়েছিল ভয়াবহ ঘটনা। বুথের বাইরে জমায়েত হঠাতে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। এ নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠে ভোটের বাংলা। সবদিক খতিয়ে দেখে তবেই সেখানে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায় নির্বাচন কমিশন। তার জন্য ভালভাবে খতিয়ে দেখা হয় সবরকম তথ্যপ্রমাণ।
এরপর সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, নির্বাচনী আধিকারিকদের থেকে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকেও রিপোর্ট চাওয়া হয়। পরে সেখানে পুনর্নির্বাচনও হয়। ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে সেই হিসেব উল্টে গেল পুরোপুরি। স্বজনহারা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিয়েছিলেন চাকরিও। মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর সেই অবদানের কথা ভোলেননি শীতলকুচির মানুষ। শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতিতে ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। আর সেই ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটিতেই ঘাসফুল শিবিরকে নির্বাচিত করলেন সাধারণ মানুষ।