ফের বিড়ম্বনার মুখে মোদী সরকার। এবার কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, দিল্লীর আমলাদের বদলি ও পোস্টিং নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল কেন্দ্র। সেই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় দিল্লী সরকার। সেই মামলায় এবার ধাক্কা খেল কেন্দ্র। শীর্ষ আদালতের নোটিশে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সের সাংবিধানিক বৈধতা আছে কিনা তা প্রমাণ করতে হবে। তবে আপ সরকারের দাবি মেনে এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করে দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পদস্থ আমলাদের বদলির অধিকার বর্তেছিল দিল্লী সরকারের হাতেই। তার পালটা কেন্দ্র সরকার আবার অর্ডিন্যান্স আনেন। দ্য গভর্নমেন্ট অফ সিএনসিটি অফ দিল্লী (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স শীর্ষক ওই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে সব ক্ষমতার রাশ নিজেদের হাতেই রাখে কেন্দ্র। তারপরেই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে দিল্লী সরকার। সোমবার শীর্ষ আদালতে শুরু হয় সেই মামলার শুনানি।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। সেখানে বলা হয়েছে, আমলা নিয়োগ ও বদলি প্রসঙ্গে কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স আদৌ বৈধ কিনা তা প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু দিল্লী সরকারের দাবি ছিল, এই অর্ডিন্যান্স খারিজ করতে হবে। সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি শীর্ষ আদালত। বরং দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অর্ডিন্যান্সের মামলায় পার্টি করতে হবে দিল্লীর উপরাজ্যপালকে। এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করতে সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে পাশে চাইছে আপ। ইতিমধ্যেই দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন-সহ বিজেপি বিরোধী প্রায় সব আঞ্চলিক দল। তবে এই অর্ডিন্যান্স প্রসঙ্গে এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি কংগ্রেস। এহেন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশে মোদী সরকারের মাথাব্যথা যে চরমে পৌঁছেছে, তা বলাই বাহুল্য।