তিনি প্রায় ৫০ বছর কংগ্রেসে ছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মান দিয়েছে। প্রায় আড়াই বছর আগে রাজ্যসভা থেকে বিদায় নেওয়ার পরও দিল্লির সরকারি বাংলো থেকে তাঁকে উঠে যেতে বলা হয়নি। সর্বোপরি রাজ্যসভায় তাঁর শেষ দিনটি অধিবেশনে উপস্থিত থেকে এই কংগ্রেস নেতার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কথা বলতে বলতে তাঁকে চোখ মুছতে দেখা যায়।
নরেন্দ্র মোদীর বিরোধী শিবিরের সেই বন্ধু জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। তিনি বলেছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা মোটেই সহজ বিষয় হবে না। তাঁর কথায়, কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদার ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার আর অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বলবৎ করা এক বিষয় নয়।
গত বছর কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টি গঠন করেন এই বর্ষীয়ান নেতা। যদিও জম্মু-কাশ্মীরে খুব একটা প্রভাব তৈরি করতে পারেনি তাঁর দল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল ভোট হলে আজাদ বিজেপির সঙ্গে জোট করে লড়াই করবেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে জনসমর্থন না থাকায় বিজেপি পিছিয়ে যায়।
তিনি আজ জম্মু-কাশ্মীরে অবিলম্বে বিধানসভা ভোট করারও দাবি তুলেছেন। বলেন, ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যে কোনও নির্বাচিত সরকার নেই। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার ছাড়া রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, অনেকের ধারণা, ইউসিসি চালু হলে শুধু মুসলিমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আসলে খ্রিস্টান, শিখরাও সমানভাবে সমস্যায় পড়বে। এছাড়া, আদিবাসী, জনজাতিরা তো আছেই। ফলে ইউসিসি চাপিয়ে দেওয়া মোটেই সঠিক পদক্ষেপ হবে না বলে মোদী সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব নিয়ম, রীতি রয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে সেগুলি বিঘ্নিত হবে। যা ব্যক্তিগত আইনের আওতায় পড়ে।