ভোট শেষ না হতেই ফের বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলে গেলেন, “এই পঞ্চায়েত নির্বাচন অবৈধ। আর অবৈধভাবে গঠিত পঞ্চায়েতের বোর্ডকে কেন্দ্রের এক টাকাও পেতে দেব না।” শুভেন্দুর এই হুমকির মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল। এদিন শুভেন্দু বলেন, “এই নির্বাচন অবৈধ। ভারত সরকারের করের টাকা এই অবৈধভাবে জেতা পঞ্চায়েতকে আমি দিতে দেব না। ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ আছে মানে চুরি বন্ধ আছে। আবাস যোজনা বন্ধ। একটা টাকা এরা পায়, দ্বাদশ অর্থ কমিশনের। এবার সেটা বন্ধ করব। গতকালই মিড-ডে-মিলের নির্দেশিকা এসেছে। সব বিডিওগুলো জেলে যাবে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।”
স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের প্রশ্ন, ভোটে যদি হিংসা হয়েও থাকে, তাহলেও তার সঙ্গে টাকা আটকে দেওয়ার সম্পর্ক কী? শাসকদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রশ্ন তুললেন,”ভোটে হিংসার সঙ্গে কেন্দ্রের টাকা আটকে দেওয়ার সম্পর্ক কী? আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছি, শুভেন্দুর উসকানিতে বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কেন্দ্র সরকার রাজ্যের টাকা আটকে দিচ্ছে। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে গেল। এরা আসলে বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ২০২১ নির্বাচনে পরাজয়ের বদলা নিচ্ছে।” ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে দেওয়া নিয়ে শাসক দলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাদের দাবি, শুভেন্দুর পরামর্শে ষড়যন্ত্র করে রাজ্যের টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। শুভেন্দুর এদিনের বক্তব্য সেই অভিযোগকেই প্রমাণ করল বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।