পঞ্চায়েত ভোটের জন্য খাতায় কলমে রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছনোর কথা ছিল। যদিও ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত সব বাহিনী এসে পৌঁছেছে কি না, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যত কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল, তারাই বা কোথায় গেল এবার সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শনিবার সকাল থেকেই গোটা বাংলা জুড়ে অশান্তি ও হিংসার খবর আসতে শুরু করেছে। আর তারপরই তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায়?
মুর্শিদাবাদে ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফের আইজি পদমর্যাদার অফিসার ফোর্স কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই মুর্শিদাবাদে ৭১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করতে বলেছেন। তার পরেও সাত সকালে কেন মুর্শিদাবাদে তিন জন তৃণমূল কর্মী খুন হলেন? কেন ব্যালট বাক্স জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে? কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দিতে পারছে না? উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, গোটা রাজ্যে ভোটে নিরাপত্তার জন্য আদালতের নির্দেশে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন৷ এদিকে, রাজ্যে মোট বুথ রয়েছে ৪৪ হাজার। যে সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছে তা মোট বুথের তুলনায় কম। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৭০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে বলে খবর। অর্থাৎ অ্যাকটিভ ফোর্স ৫৫ হাজারের বেশি নয়।
বিএসএফ কর্তা জানিয়ে দিয়েছিলেন, বুথ প্রতি হাফ সেকশন বা চার জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করতে হবে। সেই হিসাবে ১৩ হাজারের বেশি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব ছিল না। অর্থাৎ ৩১ হাজার বুথে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীই নেই। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে।