ফের রক্ত ঝরল মণিপুরে। শুক্রবার নতুন করে হিংসা সেরাজ্যের চারজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় এক পুলিশ কমোন্ডোরও মৃত্যু হয়েছে। এর জেরে জাতিগত হিংসায় সেরাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২৭। জানা গিয়েছে, গতকাল একটি ঘটনায় চূড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুর জেলার সীমানায় দুই গোষ্ঠী একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। চূড়াচাঁদপুরের এসপি কার্তিক মালাডি জানান, ভোররাত দেড়টা নাগাদ এই গুলির লড়াই শুরু হয় দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে। জানা গিয়েছে, এক সশস্ত্র গোষ্ঠীর অধীনে থাকা একটি গ্রামে হামলা চালায় অপর এক গোষ্ঠী। এরপর কয়েক ঘণ্টা এই গুলির লড়াই চলতে থাকে। পরে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় দু’জন মারা যান এবং তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন।
এদিকে অপর এক ঘটনায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে এক নাবালকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাটি ঘটে বিষ্ণুপুর জেলায়। জানা গিয়েছে, ফউবাকচো এলাকায় দুষ্কৃতীা নির্বিচারে গুলি ছুড়তে শুরু করেছিল। সেই সময় নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে গিয়েই সেই নাবালকের মৃত্যু হয়। অন্য এক ঘটনায় মোইরাং টুরেল মাপান এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় এক পুলিশ কমান্ডোর। সব মিলিয়ে একদিন সেই রাজ্যে জাতিগত হিংসা রবলি হয়েছেন ৪ জন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সেরাজ্যে স্কুল খোলার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকেই এগোচ্ছিল। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি বজায় রয়েছে সেই রাজ্যে। এর আগে একটি স্কুলের সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে কুকি ‘জঙ্গিরা’ অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই আবহে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে সেই রাজ্যে।