কলকাতায় এসে আপ্লুত তিনি। জানালেন, এপার-ওপার, দুই বাংলার সংস্কৃতিই মুগ্ধ করেছে তাঁকে। উঠল মেসি, এমবাপের প্রসঙ্গ। দীর্ঘ আলাপচারিতায় আরও নানান প্রশ্নের উত্তর দিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের বিশ্বকাপে কি খেলবেন লিওনেল মেসি? উত্তরে মৃদু হেসে এমি জানান, “মেসিকেই প্রশ্নটা জিজ্ঞাসা করলে ভাল হত না? তবে আমায় যদি বলেন তাহলে বলব, ৪৫ বছর পর্যন্ত অনায়াসে ও খেলতে পারে।” প্রশ্ন করা হয়, কাতারে বিশ্বজয়ের পর আপনি নাকি ড্রেসিংরুমে ফরাসি মহাতারকার উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছিলেন? বেশ থতমত ভঙ্গিতে পালটা জিজ্ঞাসা এল এমির মুখ থেকে। “আমি আবার এমবাপেকে নিয়ে কবে এসব করলাম? পুরোটাই ফালতু। নিখাদ গুজব”, সাফ জানালেন তিনি। পাশাপাশি, বাংলাদেশ আর ভারতের সংস্কৃতি, খাবার নিয়ে এমির বক্তব্য, “দারুণ। বাংলাদেশ আর কলকাতার মিল অনেক, আপনাদের ভাষাও তো এক। কলকাতাকে প্রকৃত অনুভব করেছি বলতে পারেন আজ গোটা দিন ধরে। বাঙালি খাবার-দাবারও খেলাম। মনে থেকে যাবে সব।”
উল্লেখ্য, বুধবার রাতের একটি নৈশভোজের পার্টিতে উপরের এই কথোপকথন ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় শব্দবন্ধ শোনা ছেল এমির মুখে। স্পষ্ট বাংলায় তিনি বললেন, “খেলা হবে!” অনুষ্ঠানের শুরুতে এমিকে তাঁর সেই বহুচর্চিত প্রতিকৃতি দিয়ে সংবর্ধিত করলেন সৃঞ্জয় বসু ও আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। এরপর এল বিশাল একটি কেক। যেখানে বড় বড় করে লেখা, “এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, তোমায় অফুরান শুভেচ্ছা।” ছিলেন ইন্ডাসইন্ড ব্যাংকের ইস্টার্ন রিজিয়নের জোনাল হেড সৌরভ মজুমদার। এমিকে সংবর্ধনা দিলেন তাঁরাও। ময়দানের বিখ্যাত ক্লাব ভবানীপুরের তরফে সম্রাট ভৌমিক, সঞ্জয় ঘোষ, শুভজিৎ রায়, সুরজিৎ বোস এরপর উঠলেন এমিকে সংবর্ধনা দিতে। ভবানীপুর ক্লাবের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। ভবানীপুর ক্লাবের জার্সিতে সইও করে দিলেন ‘ডিবু’। অনুষ্ঠানে বাংলা ক্রিকেটের জনপ্রিয় মুখদেরও দেখা গিয়েছে। ছিলেন বাংলার নির্বাচক প্রধান শুভময় দাস, বাংলার অন্যতম সেরা ব্যাটিং-প্রতিভা অনুষ্টুপ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগানের ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মহেশ টেকরিওয়াল ও শংকর রাউত। দেখা গেল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তও। বিদায়ের আগে কলকাতাবাসীর উদ্দেশে আবেগঘন বার্তা দিলেন বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক। “গত দু’দিন ধরে আমার জন্য যেভাবে আপনারা ছুটে এসেছেন, যে ভালবাসা আপনারা আমাকে উপহার দিয়েছেন, তা আমি কোনও দিন ভুলব না। আশা করি আবার একদিন আমি ফিরে আসব এই শহরে। নমস্তে, নমস্কার, আপনারা ভাল থাকবেন সবাই”, জানালেন এমিলিয়ানো।