পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ছড়িয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের পাঠানো রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। তারপর থেকেই রাজ্যপালের থেকে সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত প্রকট হয়েছে।
পাল্টা রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠিও দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যপালকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার মতে, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে ভোট প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। তাঁর কটাক্ষ, রাজ্যপালের পদ সাংবিধানিক। তিনি ভোটের প্রচার করতে পারেন না। একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এভাবে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত চলছিল। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পরে সেই সংঘাত আরও বেড়ে যায়। প্রকাশ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, হিংসার ঘটনায় তাঁকে যে সমস্ত রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে তাতে অনেক তথ্যই জানানো হচ্ছে না। এরপরেই নিজে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেইমতোই তিনি বেশ কয়েকটি জায়গায় গিয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। কোচবিহার থেকে ক্যানিংয়ে ছুটে গিয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাজ্যপাল প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপাল হলেন সাংবিধানিক পদ। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোটের প্রচার করতে পারেন না। অথচ বর্তমান রাজ্যপাল কোচবিহারে গিয়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোটের রণনীতি ঠিক করে দিচ্ছেন। এমনকী সেনা, বিএসএফ, সিআইএসএফকে ডেকে স্ট্রাটেজি ঠিক করছেন। তিনি এটা করতে পারেন না।’