ফের সংবাদ শিরোনামে রাজনৈতিক কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলছেন, ইউনিফর্ম সিভিল কোডের প্রয়োগের ফল, ভাল বা খারাপ যাই হোক, তা অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণ এবং ৩৭০ ধারা বাতিললের মতো বিজেপির অন্যান্য মূল এজেন্ডা থেকে অনেকটাই বেশি মাত্রায় হবে।
আইপ্যাক-র প্রতিষ্ঠাতা বিহারের সমস্তিপুর জেলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি সম্প্রতি তার ‘জন সুরাজ’ প্রচার অভিযানকে ফের একবার শুরু করেন। সম্প্রতি পিকে-র লিগামেন্টের আঘাতের ফলে এই অভিযান বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল।
সাংবাদিকরা ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বিষয়ে পিকেকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না এটা খুব একটা সহজ কাজ হবে বিজেপির জন্য। কিছু মানুষ মনে করতেই পারেন এটা খুবই সহজ, কিন্তু আদতে তা নয়। তবে বিগত ২০-২৫ বছর ধরে বিজেপির ইস্তেহারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি।’
পিকে আরও বলেন, ‘এই অভিন্ন সিভিল কোড ভারতের জনগণের একটি খুব বড় অংশকে সরাসরি প্রভাবিত করবে। অতএব, এর পরিণতি, ভাল বা খারাপ দুই হতে পারে। তবে বিজেপির অন্য দুটি মূল এজেন্ডার থেকে এর প্রভাব অনেক বেশি পড়বে সাধারণ মানুষের উপর।’
এদিকে বিরোধীদের দাবি, আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িকভাবে ভোটারদের মেরুকরণের জন্য বিজেপি এই ইস্যুটি উত্থাপন করছে। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘খুব বেশি না ভেবে আমি সরাসরি বলতে চাই দেশের প্রতিষ্ঠাতা বা সংঘের মতাদর্শীরা কেউই এর পক্ষে ছিলেন না। তাঁদের তেমন কোনও ইচ্ছা ছিল না দেশের উপর একজাতীয়তা আরোপ করার।’ এক দেশ এক আইন মূলত বিজেপির মস্তিষ্ক প্রসূত বলেই দাবি প্রশান্ত কিশোরের।