বারবার রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় সাহায্য চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলার প্রতি মোদী সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের জেরে গঙ্গা ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সাহায্য মেলেনি। এবার তাই নয়া উপায় উদ্ভাবন করে নদী ভাঙন রোধে নামল রাজ্যের সেচ দফতর। বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি বাঁশের খাঁচা ‘পরকো’-য় ইট ভরে ভাঙন রোধের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। উদয়নারায়ণপুরের জগদীশপুরে হুগলী নদী ও মহিষাদলের দনিপুরে রূপনারায়ণের ভাঙন ঠেকাতে ইতিমধ্যেই পরকো ব্যবহার হয়েছে। সেচ দফতরের দাবি, মাটির বস্তা, ইঁটের টুকরোর থেকে এই পরকো অনেক বেশি কার্যকরী। এই পদ্ধতিতে খাঁচার মধ্যে ইট ভরে জলে বসানো হয়। খাঁচার আকৃতি বিশেষ ধরনের হ্ওয়ার কারণে খুব সহজেই জলের স্রোত প্রতিহত করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, নদী গর্ভে চলে যাওয়া হাওড়ার উলুবেড়িয়ার জগদীশপুর বাঁশতলায় প্রায় ৬০ মিটার নদী বাঁধ মেরামতিতে এই বাঁশের খাঁচা ব্যবহার করা হয়েছে। একই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে দনিপুরের কাছে রূপনারায়ণে। এখানে নদের গভীরতা বেশি হওয়ায় জলস্রোত বেশি। ফলে বারবার ভেঙে যায় ঐ অংশের নদী পাড়। তাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সেচ দফতর ভাঙন রুখতে পাড় বরাবর বাঁশের খাঁচা ফেলেছে। বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, জলের স্রোত এবং নদীর পাড় ঘেঁষে বড় বড় মালবাহী জাহাজ যাতায়াতের ফলে জলের ধাক্কায় বাঁধে ব্যবহৃত বস্তা ও ইট নদী গর্ভে চলে যায়। কিন্তু বাঁশের খাঁচার আকৃতি বিশেষ ধরনের হওয়ায় সহজে জলের স্রোত প্রতিহত হচ্ছে।