রবিবারই এনসিপি-র বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেন অজিত পাওয়ার। দল ভাঙিয়ে মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। আর তারপর সোমবারই মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোট মহা বিকাশ আগারির তরফে ঐক্যের বার্তা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এনসিপিতে ভাঙন সেই দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। জোটের সঙ্গে শরিক দলের ভাঙ্গা গড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু মঙ্গলবার সকালেই বিরোধী দলনেতার পদ দাবি করেছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার এই বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডেকেছে হাত শিবির। উপস্থিত থাকবেন এআইসিসি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা এইচকে পাতিল এবং রাজ্যের প্রবীণ নেতা পৃথ্বীরাজ চৌহান।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। তিনি দল ভাঙিয়ে পরদিন উপ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর একদিন রবিবার পদটি ফাঁকা ছিল। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার সোমবার প্রবীণ বিধায়ক জিতেন্দ্র আহাদকে বিরোধী দলনেতা করেন। ওই পদে বসেই অজিত পাওয়ারদের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের সুপারিশ করে স্পিকারকে চিঠি দেন আহাদ। কংগ্রেস মঙ্গলবারই বিরোধী দলনেতার পদটি দাবি করে বসায় আজই আহাদের ওই পদে মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কংগ্রেসের ৪৫ বিধায়ক আছেন। গত বছর একনাথ শিন্ডে দল ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার আগে শাসক শিবিরে সবচেয়ে বড় দল ছিল শিবসেনা। এখন বিরোধী শিবিরে থাকা শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর হাতে ১৪ বিধায়ক আছেন। ফলে বিরোধী শিবিরের সবচেয়ে বড় দল হয়েছিল এনসিপি। রবিবার অজিত পাওয়ারের বিদ্রোহের জেরে এনসিপি এক ধাক্কায় তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে। এই সুযোগে বিরোধী দলনেতার পদ দাবি করে বসেছে কংগ্রেস। আসলে কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হল মারাঠা ভূমে বিজেপি এখনও হাত শিবিরের বিধায়কদের ভাঙাতে পারেনি। শিবসেনা ও এনসিপিকে বিজেপি দু’টুকরো করে দেওয়ায় বিরোধী শিবিরে কংগ্রেসের গুরুত্ব তাই বেড়ে গিয়েছে।