এনসিপি ভেঙ্গে রবিবার দুপুরেই মহারাষ্ট্রের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন অজিত পাওয়ার। তাঁর সঙ্গে আরও এনসিপি’র আরও ৯ বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। যা নিয়ে তোলপাড় মরাঠা রাজনীতি। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে এনসিপি’র বিদ্রোহী নেতা অজিত পাওয়ারের শপথের সঙ্গে সঙ্গেই মুম্বইয়ের রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কী মুখ্যমন্ত্রী পদে একনাথ শিন্ডের সময় ঘনিয়ে এসেছে? বিদ্রোহী শিবসেনা নেতাকে সরিয়ে কী মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিস?
পরিসংখ্যান তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট বিধায়কের সংখ্যা ২৮৮। সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজন ১৪৫ বিধায়কের সমর্থন। বর্তমানে শিবসেনা (শিন্ডে) ও বিজেপি জোট সরকারের পিছনে রয়েছে ১৬৬ বিধায়কের সমর্থন। তার মধ্যে শিবসেনার (শিন্ডে) বিধায়ক সংখ্যা ৪০। বিজেপির রয়েছেন ১০৫ বিধায়ক। নির্দল ও অন্যান্য আঞ্চলিক দল মিলিয়ে আরও ২১ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে সেনা-বিজেপি সরকারের পিছনে। শিবসেনাকে বাদ দিলে নির্দল ও অন্যান্যদের মিলিয়ে বিজেপির শক্তি দাঁরাচ্ছে ১২৬। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৯ বিধায়কের সমর্থন।
সেই ১৯ বিধায়কের ঘাটতি মেটাতেই অজিত পাওয়ারকে দিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব এনসিপিতে ভাঙন ধরিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। বিদ্রোহী এনসিপি শিবিরের সঙ্গে কতজন বিধায়ক রয়েছে, তা নিযে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে অন্তত ১৮ জন বিধায়কের সমর্থন অজিত পওয়ার নিশ্চিত করেছেন বলে সোনা যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে আরও বেশ কয়েকজন দলবদল করে মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দিতে পারেন বলে অমনুমান করা হচ্ছে। আর নিজেদের জোরে সরকার গঠন নিশ্চিত হওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থেকে একনাথ শিন্ডেকে গলাধাক্কা দিয়ে সরানোর পথে বিজেপি নেতৃত্ব হাঁটবেন বলে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হযেছে। বিজেপি শির্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, শিন্ডেকে গলাধাক্কা দিলে তার খুব একটা প্রভাব পড়বে না ভোট বাক্সে। কেননা, উদ্ধবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আম জনতার কাছে কোনও সহানুভূতি পাবেন না। বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘অজিত পাওয়ার মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ায় একনাথ শিন্ডের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল বলে ধরে নিন।’