কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মধ্যপ্রদেশের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। সেই একই বক্তৃতায় মোদী বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রে এনসিপির বিরুদ্ধে ৭০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার পর রাতারাতি দেখা গেল, এনসিপি থেকে এমন ৯ জন নেতা মহারাষ্ট্রে বিজেপি-একনাথ শিণ্ডে সরকারের মন্ত্রী হলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা অন্য কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির তদন্ত চলছে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, সিবিআই-ইডি তদন্ত কি বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ার। বিরোধীরা এ ব্যাপারে যে সব প্রশ্ন তোলেন, তা কি তাহলে সঠিক কথাই বলেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-ইডির তদন্ত ও একাধিক তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীকে গ্রেফতারের ঘটনাকে রাজনৈতিক পুঁজি করে এখন বাংলায় হই হই করে নেমেছে বিজেপি। প্রায় প্রতি সভাতেই তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের চোর বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী বা সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু ঘটনা হল, মহারাষ্ট্রে যে এনসিপি নেতারা বিজেপির বন্ধু হয়ে সরকারের শরিক হয়েছে তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অঙ্ক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তুলনায় অনেক বড়।
এ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি কবে লড়াই করেছে? বিজেপি হল ধোপাগাছি। প্রথমে সিবিআই-ইডি লেলিয়ে দিয়ে ভয় দেখাবে। তার পর দলে টেনে নেবে। আর বিজেপিতে গেলেই ধুয়ে সাফ’। কুণালের কথায়, ‘শুভেন্দু অধিকারীকেই দেখুন না। নারদ কাণ্ডে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যেই না বিজেপিতে গিয়েছে আর কোনও তদন্তের নাম নেই। আসামে হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধেও চিটফান্ড তদন্ত শীতঘুমে চলে গেছে’।