দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে ভাইপো অজিত পাওয়ার-সহ নয় বিদ্রোহী বিধায়কের বিরুদ্ধে আগেই পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শরদ পওয়ার। এ বার মহারাষ্ট্রে এনসিপির রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাটিল জানালেন, দলকে অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নয় বিধায়কের পদ খারিজ করার আর্জি জানাবেন তাঁরা।
যদিও রবিবারই মহারাষ্ট্রের নয়া উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত জানিয়েছিলেন, এনসিপি দল তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। দলের নাম এবং প্রতীকেই তাঁরা আগামী সব নির্বাচনে লড়বেন। মনে করা হচ্ছে, শিবসেনার মতোই এ বার এনসিপির ‘স্বত্বাধিকার’ নিয়েও লড়াইয়ে নামতে চলেছেন কাকা শরদ এবং ভাইপো অজিত।
অন্যদিকে দলের শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটি অজিত-সহ নয় বিধায়কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে। ওই বিধায়কদের পদ খারিজ করার জন্য এনসিপির তরফে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারভেকর এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পাতিল।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, স্পিকারের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এনসিপি সূত্রের খবর, বিষয়টির দ্রুত ফয়সালা করার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ জানাবে তারা। পাটিল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘তাঁরা (নয় বিধায়ক) যে কাজ করেছেন, তা সম্পূর্ণ অবৈধ। শরদ পওয়ার এবং দলকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জয়প্রকাশ দান্ডেগাঁওকরের নেতৃত্বে দলের শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটি তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা শীঘ্রই এই প্রস্তাব পেশ করব।” পাতিল এ-ও দাবি করেন যে, যখন থেকে ওই বিধায়কের দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়েছেন, তখন থেকেই তাঁরা আর বিধায়ক নেই’।