ভোটের প্রাকলগ্নে ফের বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি বিজেপির নির্বাচনী সভায় অসুস্থ হয়ে কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও চাঞল্য অব্যাহত মতুয়া অধ্যুষিত গাইঘাটায়। বিরোধী দলনেতার সভায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে হারাধন বিশ্বাস নামে বছর আটষট্টির এক বৃদ্ধের। আর এ নিয়ে বিরোধী দলনেতার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অপরাধমূলক মানসিকতা নিয়ে টুইটে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এর সঙ্গে তিনি তুলনা করেছেন গত বছরের ডিসেম্বরে আসানসোলে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনার। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। টুইটে কুণাল ঘোষের অভিযোগ, এই ঘটনা একেবারেই শুভেন্দু অধিকারীর উদাসীনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। তিনি আগেই জানতেন যে প্রবল গরম আর তৃষ্ণায় ওই বৃদ্ধ মানুষটি অসুস্থ বোধ করছেন এবং সভার ভিড় থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেননি। এরপর অসুস্থ অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাণ হারান তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার গাইঘাটার ওই সভায় এমন দুর্ঘটনার পর বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা বিরোধী দলনেতাকে হাসপাতালে যাওয়ার দাবি তোলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তাতে একেবারেই কান দেননি বলে অভিযোগ। তিনি হাসপাতালে কিংবা মৃত কর্মীর বাড়িতে না গিয়ে সোজা সভাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যান। তাতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে৷ কেন বিরোধী দলনেতা একবার আসতে পারলেন না হাসপাতালে? ওঠে এমনই প্রশ্ন। মৃতের পরিবারও শুভেন্দু অধিকারীর এহেন আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কীভাবে মৃত্যু হল হারাধন বিশ্বাসের, তা নিয়ে যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে একাধিক মহলে। নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে গেরুয়া-নেতৃত্বের।