নির্বাচনী আবহে ফের বিপাকে পড়ল পদ্মশিবির। আগামী ২৪শে জুলাই রাজ্যসভা ভোট। উল্লেখ্য, এই প্রথম বাংলা থেকে রাজ্যসভায় প্রতিনিধি পাঠাতে চলেছে বিজেপি। অঙ্কের হিসেব অনুযায়ী একটি আসনে তাদের জয় কার্যত নিশ্চিত। সেই জয় থেকে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে মরিয়া পদ্মশিবির। শোনা যাচ্ছে, দিল্লীর নেতারা পাঁচজনের নাম চেয়েছে বঙ্গ বিজেপির কাছে। বিজেপির নেতারা আকছার উত্তরবঙ্গ ভাগ নিয়ে সওয়াল করেন। গেরুয়া জনপ্রতিনিধিরা তাতে সামিল হন। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই বঙ্গভঙ্গের উস্কানিতে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। তাই গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অনন্ত মহারাজকে হাতিয়ার করতে চাইছেন তারা। উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছেন অনন্ত। বিজেপির অন্দরের খবর, অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে জোড়া রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে সুকান্ত, দিলীপরা। বাংলার ২৩টি বিধানসভা ও দু’টি লোকসভায় নির্ণায়ক শক্তি রাজবংশী ভোটাররা। অনন্ত মহারাজের সরাসরি প্রভাব রয়েছে তাদের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, সংসদের উচ্চকক্ষে অনন্ত মহারাজকে পাঠানো হলে রাজবংশী সমাজের ভোট কার্যত বিজেপির পক্ষে যাবে। রাজ্যসভার সাংসদ উত্তরবঙ্গবাসী হলে, আসন্ন লোকসভা ভোটে তার রাজনৈতিক সুবিধা পেতে পারে বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনন্ত মহারাজের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকের কিছুদিন পরই অনন্ত মহারাজ দাবি করেছিলেন, উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হবে। স্বয়ং অমিত শাহ নাকি এব্যাপারে তাকে আশ্বাস্ত করেছেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষিত হলে, যাবতীয় ক্ষমতা তার হাতে থাকবে বলেও দাবি করেছিলেন অনন্ত মহারাজ। স্বভাবতই এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল একাধিক মহলে।